বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামো, ১৮তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ১০ থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ইনস্টিটিউটের সেবা কার্যক্রম চালু হবে। ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, এই ইনস্টিটিউটে আগুনে পোড়া, জন্মগত ত্রুটি, ট্রমা (শারীরিক ও মানসিক আঘাত) আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় ইঞ্জুরিসহ নানা ধরনের ত্বক, রক্তনালি ও মাংসপেশিতে ক্ষতের সার্জারি ও পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের অধীন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ১০০ শয্যা রয়েছে। ২০১২ সালে এটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর ৩০০ শয্যার হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। বর্তমানে ৫০০ শয্যার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এটির উদ্বোধন হলে নিজেরাই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ হবে। অবশ্য এখন অনানুষ্ঠিকভাবে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলছে, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের তত্ত্বাবধানে দেশের ১৪টি মেডিকেলে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইতিমধ্যে। যেখানে এ জাতীয় রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া এসব ইউনিটের চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের ট্রেনিংয়ের কোনো ব্যবস্থাও সেগুলোতে নেই। সেই ক্ষেত্রে নতুন এই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বিপুল সংখ্যা রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং তা দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় তৈরি করবে বলেই সংশ্লিষ্টদের ধারণা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট তথ্যমতে, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বিশ্বে এটাই প্রথম। এ পর্যন্ত বৃহৎ হিসেবে জার্মানি, চীন ও তাইওয়ানে ৪০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বা ইনস্টিটিউট ছিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। ৫০০ শয্যার এই ইনস্টিটিউটের সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রকল্পের ১৮তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এরই মধ্যে ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি আমদানি ও স্থাপনসহ সেবা কার্যক্রম চালুর জন্য সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
ইউনানী ঔষধ উৎপাদনকারী কোম্পানীর তালিকা | ইউনানী ঔষধ তালিকা
এখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকছে। সাধারণ ওয়ার্ডের পাশাপাশি ২০টি আইসিইউ বেড, পুরুষ বেড ২৪টি ও মহিলাদের জন্য ২৪টি বেড থাকছে। এছাড়া পোস্ট অপারেটিভ বেড ৩২টি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বার্ন ১৬টি ও ১৬টি প্লাস্টিক সার্জারি রোগীদের জন্য। পেয়িং বেড থাকবে ২৪টি। রোগী পর্যবেক্ষণ রুমে বেড থাকবে ১০টি। ৪টি অপারেশন থিয়েটার নিয়ে থাকবে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স। সেখানে একটি জরুরি বিভাগ থাকবে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর অপারেশন হবে এই বিভাগে। ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা পাওয়া যাবে জরুরি বিভাগ থেকে। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে সব সময়ই অপারেশনের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্মৃদ্ধ পরীক্ষাগার ও নিজস্ব ব্লাড ব্যাংকও থাকবে অপারেশন থিয়েটার বিভাগে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জন্মগত ত্রুটি বা ঠোঁট কাটাদের আলাদা একটি সেন্টার থাকবে। যেখানে ১২টি বেডের একটি ওয়ার্ড থাকবে। ঠোঁট ফাটা বা কাটা রোগীদের জন্য অপারেশনের সব ধরনের যন্ত্রপাতি থাকছে। সেই সাথে দেশের একমাত্র ভিডিও-ফ্লারোস্কোপ এবং অত্যাধুনিক অণুবীক্ষণ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। এই কেন্দ্রটি সম্মৃদ্ধশালী একটি কেন্দ্র হবে। এখানে একজন ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন, স্পিচ থেরাপিস্ট এবং একজন কো-অর্ডিনেটর থাকবেন। ইনস্টিটিউটে পাঁচটি উচ্চমানের অক্সিজেন চেম্বার থাকবে। যা সংশ্লিষ্ট রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আধুনিক সংযোজন। এই সুবিধা দেশের মধ্যে একটি অনন্য এবং বিরল সুযোগ। এটি প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য সংক্রামণ থেকে শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা রক্ষা একটা বড় হুমকি। এ জন্য রোগীদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেয়া প্রয়োজন। শ্বাসনালি পুড়ে গেলে বিকল্প চামড়া দিয়ে ক্ষত অস্থায়ীভাবে আবৃত করা সম্ভব। এটি এ ধরনের রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যে এখানে একটি চামড়া ব্যাংক থাকবে, যা বাংলাদেশে প্রথম। এখানে ক্ষতিকর ত্বকের জন্য চামড়া সংগ্রহ এবং সরবরাহ করা হবে। এসব চামড়া অস্থায়ীভাবে রোগীর পোড়াএলাকা ঢেকে রাখবে, যতক্ষণ পর্যন্ত রোগীর নির্দিষ্ট স্থায়ী চামড়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত না হয়। ৪ ক্যাটাগরিতে ২ হাজার জনবলের পদ সৃষ্টি দেশের প্রথম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪ ক্যাটাগরিতে ২ হাজার জনবল নিয়োগের জন্য পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোগীদের কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে ১৩ জন অধ্যাপক থাকবেন। সেই সাথে ১৫ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৩৮ জন সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক থাকবেন। একই সাথে ৩ জন আবাসিক সার্জন, ৩০ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট, ১৯ জন রেজিস্ট্রার, ৩১ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ ২শ জন মেডিকেল অফিসার ও সহকারী সার্জনের পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। এমবিবিএস ডিগ্রিধারীরা এখানে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ এবং ইন্টার্ন করতে পারবেন। এরই মধ্যে তিনটি ইন্টার্ন কোর্স শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৪র্থ ব্যাচের কোর্স চলছে। ৪র্থ ব্যাচে ১৪ জন ইন্টার্ন করছেন। আগামী শিক্ষা বর্ষে ২০ জন চিকিৎসক উচ্চতর ডিগ্রি পেতে বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে। আবাসিক ছাড়াও অন্যদের জন্য এফসিপিএস কোর্স করার সুযোগ থাকবে এখানে। ইনস্টিটিউট পরিচালনায় ৯৪০ জন ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা, ৪৭১ জন তৃতীয় শ্রেণির ও ৩৭০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকবেন। সব মিলিয়ে ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ অনুমোদন পেয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে নতুন সৃষ্ট পদে খুব শিগগিরই জনবল নিয়োগ দেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এছাড়াও ক্লিনিক্যাল সার্ভিস, ওয়াই-ফাই সুবিধাসহ সম্মৃদ্ধ লাইব্রেরি থাকবে এই ইনস্টিটিউটে। আর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় থাকছে এসি ও মাল্টিমিডিয়া যুক্ত ২০০ সিটের ক্লাস রুম এবং একটি কনফারেন্স রুম। কেন এই ইনস্টিটিউট, কারা চিকিৎসা পাবেন? সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ট্রমা আক্রান্ত, আগুনে পুড়ে যাওয়া, মেশিনে ইনজুরি, জন্মগত ত্রুটি, ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ চিকিৎসক ও নার্সদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ১. ট্রমা আক্রান্ত : প্রতিবছর দেশে ১ কোটি মানুষ ট্রমায় আক্রান্ত হন। যাদের শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। ইতিপূর্বে দুর্ঘটনার সব রোগীই পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হতো। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় সব সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। যেমন রোগীর মাংসপেশি, রক্তনালি ও চামড়া বা ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এসব রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের ১৪ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত এমন ৬০ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয় এসব প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগগুলোতে। কিন্তু বছরে ১ কোটি রোগীর জন্য ১৪টি মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত সুযোগ, প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রুমেন্ট বা ইকুইপমেন্ট নেই। এসব রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ইনস্টিটিউট। ২. আগুনে পুড়ে যাওয়া : দেশে বছরে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে আগুনে পুড়ে যাচ্ছে বলে জরিপ তথ্যে উঠে এসেছে। কিন্তু এদের জন্য দেশে স্পেশালাইজড কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। বর্তমানে যে ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তাতে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত শয্যা বা বেড নেই। এসব রোগীর জন্য কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে নতুন এই ইনস্টিটিউটে। ৩. জন্মগত ত্রুটি : জন্মগত ত্রুটি নিয়ে ৩ লাখের বেশি রোগী অপারেশনের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে ঠোঁট ফাটা বা কাটা, হাত কাটা, পা কাটাসহ নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেই সাথে প্রতিবছর ৫ হাজার নতুন শিশু শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে জন্ম জন্মগ্রহণ করছে। যাদেরকে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেই জন্মগত ত্রুটিযুক্ত মানুষের জন্য আশার আলো হচ্ছে নতুন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ৪. মেশিনারিতে ইনজুরড : বিভিন্ন ধরনের মেশিনারিতে কাজ করতে গিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ইনজুরড হন। তাদের জন্য কাক্সিক্ষত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছিল না এতোদিন। এসব ক্ষেত্রেও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবা মিলবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। হাত-পায়ের আঙ্গুল, কব্জি প্রভৃতি কেটে যাওয়া, এমনকি সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাওয়ার পরও তা পুনরায় জোড়া লাগানো সম্ভব হচ্ছে বর্তমানে এখানে। ইনস্টিটিউটটি চালু হলে এই চিকিৎসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। ৫. ক্যান্সার অপারেশন ও পরবর্তী সেবা : ক্যান্সার অপারেশন ও পরবর্তী সেবার ক্ষেত্রেও কাজ করবে বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ প্লাস্টিক সার্জারি প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর ১২ লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মধ্যে ব্রেস্ট, জরায়ু, হাত-পা ও মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাই বেশি। তাদের অপারেশন ও পরবর্তীতে ত্বকের চিকিৎসা সেবা দেবে এই ইনস্টিটিউট। ৬. ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ : দেশের ১৪টি হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে যে ডাক্তার ও নার্সরা দায়িত্ব পালন করেন তাদের জন্য দেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হবে। এ জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনেও এখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এফসিপিএস কোর্স করানো হবে। পাশাপাশি এই ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি এমএস কোর্স করার সুযোগ পাচ্ছেন এমবিবিএস ডিগ্রিধারীরা। যা দেশে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে বিশ্বাস প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। এসব তথ্য জানা গেছে প্রকল্প পরিচালক এবং ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালামের সঙ্গে আলাপকালে। শীর্ষকাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বার্ন বা আগুনে পোড়াসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার কারণে চামড়া, রক্তনালি ও মাংসপেশিতে ক্ষতজনিত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। কিন্তু এসব রোগীর চিকিৎসায় দেশে স্পেশালাইজড কোনো হাসপাতাল এতদিন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এবার সেটা হলো।’ ডা. মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০-১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নামের এই বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করবেন। এর পর থেকেই ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসা কেন্দ্রের সেবা দেশবাসী পাবেন।’ এটা দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের সাফল্য বলেও মনে করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment